ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অজুর পর যে দোয়া পড়লে জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে যায়

  • ইসলাম ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৫:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 20

ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, পরিপূর্ণরূপে অজু করে যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে, তার জন্য জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দেওয়া হবে, সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করবে। দোয়াটি হলো,

أَشهَدُ أَنْ لاَ إلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

উচ্চারণ: আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসূলুহু।

অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই; তিনি একক, তার কোন শরিক নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার বান্দা ও রাসুল। (সহিহ মুসলিম: ৫৭৬)

অজুর আরও ২ দোয়া
আল্লাহর রাসুল (সা.) অজুর শুরুতে ও শেষে অন্যান্য দোয়াও পড়তেন। অজুর শুরুতে আল্লাহর রাসুল (সা.) ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়তেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে অজুর শুরুতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে না, তার অজু পূর্ণ হয় না। (সুনানে আবু দাউদ)

অজুর করার সময় বা অজু শেষে রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তেন:

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لي ذَنْبِي وَوَسِّعِ لي فِي داري وَبارِكْ لي في رِزْقِي

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা-গফিরলী যামবী ওয়া ওয়াসসি’ লী ফী দারী ওয়া বারিক লী ফী রিযক্বী।

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমার অপরাধ ক্ষমা করুন, আমার ঘর প্রশস্ত করুন এবং আমার রিজিকে বরকত দান করুন। (আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ লিন-নাসাঈ)

অজুর পরিচয় ও ফরজসমূহ
ইসলামে অজু কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। নামাজ, তাওয়াফ, কোরআন স্পর্শ করার জন্য অজু অবস্থায় থাকা বাধ্যতামূলক। জিকির, তিলাওয়াতসহ অনেক আমল অজু ছাড়াও করা যায়, কিন্তু অজু অবস্থায় করলে সওয়াব বেড়ে যায়। কোনো আমলের উদ্দেশ্য ছাড়াও অজু করা, অজু অবস্থায় থাকা সওয়াবের কাজ। বিভিন্ন হাদিসে অজু অবস্থায় ঘুমানোরও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

অজুর ফরজ কাজ চারটি। পুরো চেহারা ধোয়া, উভয় হাত কনুইসহ ধোয়া, মাথা মাসাহ করা এবং উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধোয়া। অজুর এ চারটি ফরজের কথা কোরআনে এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাজের জন্য উঠবে, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসাহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। (সুরা মায়েদা: ৬)

বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার আমল

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

অজুর পর যে দোয়া পড়লে জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে যায়

আপডেট সময় ১১:০৫:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, পরিপূর্ণরূপে অজু করে যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে, তার জন্য জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দেওয়া হবে, সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করবে। দোয়াটি হলো,

أَشهَدُ أَنْ لاَ إلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

উচ্চারণ: আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসূলুহু।

অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই; তিনি একক, তার কোন শরিক নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার বান্দা ও রাসুল। (সহিহ মুসলিম: ৫৭৬)

অজুর আরও ২ দোয়া
আল্লাহর রাসুল (সা.) অজুর শুরুতে ও শেষে অন্যান্য দোয়াও পড়তেন। অজুর শুরুতে আল্লাহর রাসুল (সা.) ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়তেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে অজুর শুরুতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে না, তার অজু পূর্ণ হয় না। (সুনানে আবু দাউদ)

অজুর করার সময় বা অজু শেষে রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তেন:

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لي ذَنْبِي وَوَسِّعِ لي فِي داري وَبارِكْ لي في رِزْقِي

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা-গফিরলী যামবী ওয়া ওয়াসসি’ লী ফী দারী ওয়া বারিক লী ফী রিযক্বী।

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমার অপরাধ ক্ষমা করুন, আমার ঘর প্রশস্ত করুন এবং আমার রিজিকে বরকত দান করুন। (আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ লিন-নাসাঈ)

অজুর পরিচয় ও ফরজসমূহ
ইসলামে অজু কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। নামাজ, তাওয়াফ, কোরআন স্পর্শ করার জন্য অজু অবস্থায় থাকা বাধ্যতামূলক। জিকির, তিলাওয়াতসহ অনেক আমল অজু ছাড়াও করা যায়, কিন্তু অজু অবস্থায় করলে সওয়াব বেড়ে যায়। কোনো আমলের উদ্দেশ্য ছাড়াও অজু করা, অজু অবস্থায় থাকা সওয়াবের কাজ। বিভিন্ন হাদিসে অজু অবস্থায় ঘুমানোরও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

অজুর ফরজ কাজ চারটি। পুরো চেহারা ধোয়া, উভয় হাত কনুইসহ ধোয়া, মাথা মাসাহ করা এবং উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধোয়া। অজুর এ চারটি ফরজের কথা কোরআনে এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাজের জন্য উঠবে, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসাহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। (সুরা মায়েদা: ৬)

বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার আমল