ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিওভাইরাসের লক্ষণ, প্রতিরোধে করণীয়

দেশে প্রথমবার রিওভাইরাস (রেসপিরেটরি এন্টারিক অরফান ভাইরাস) শনাক্ত হয়েছে। পাঁচ জনের শরীরে এই ভাইরাস পেয়েছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)।

রিওভাইরাস মূলত ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। জানা গেছে, বিশ্বে প্রথম রিওভাইরাস শনাক্ত হয় ১৯৫০ সালে। প্রাদুর্ভাব বাড়ে শীতের সময়।

রিওভাইরাস এমন একটি ভাইরাস, যা সাধারণত প্রাণী বা মানুষের মধ্যে অন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। পানির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস।

যা শিশুদের ডায়রিয়া বা জ্বরের সৃষ্টি করে। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ৩-৬ দিনের মধ্যেই উপসর্গ দেখা দেয়। তবে ভাইরাসটি তুলনামূলকভাবে কম ভয়াবহ ও সাধারণত সহজেই চিকিৎসা করা যায়।

রিওভাইরাসের লক্ষণ কী কী?
* ডায়রিয়া- পানি জাতীয় পাতলা মল, যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
* জ্বর- শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
* বমি- বমি করা, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পর।
* পেটে ব্যথা- অন্ত্রের অস্বস্তি বা পেটের ব্যথা।
* শক্তি কমে যাওয়া- শরীর দুর্বল অনুভূতি বা ক্লান্তি।

কতটা মারাত্মক এই ভাইরাস?
রিওভাইরাস সাধারণত মারাত্মক নয়, তবে এটি গুরুতর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। সেক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা না পেলে এটি জীবনহানির কারণ হতে পারে। তবে, এটি সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে ভালভাবে নিরাময়যোগ্য।

এই ভাইরাস সংক্রমণ কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, এমনিক এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা।

প্রতিরোধের উপায় কী?
রিওভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য টিকা (রিওভাইরাস ভ্যাকসিন) আছে যা শিশুদের জন্য দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া হাত ধোয়া, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও খাবারের সুরক্ষা এই ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।

সূত্র: মেডসক্যাপ

চা খেতে খেতে ধূমপান, অজান্তে মারাত্মক ক্ষতি করছেন না তো?

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রিওভাইরাসের লক্ষণ, প্রতিরোধে করণীয়

আপডেট সময় ০৭:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে প্রথমবার রিওভাইরাস (রেসপিরেটরি এন্টারিক অরফান ভাইরাস) শনাক্ত হয়েছে। পাঁচ জনের শরীরে এই ভাইরাস পেয়েছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)।

রিওভাইরাস মূলত ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। জানা গেছে, বিশ্বে প্রথম রিওভাইরাস শনাক্ত হয় ১৯৫০ সালে। প্রাদুর্ভাব বাড়ে শীতের সময়।

রিওভাইরাস এমন একটি ভাইরাস, যা সাধারণত প্রাণী বা মানুষের মধ্যে অন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। পানির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস।

যা শিশুদের ডায়রিয়া বা জ্বরের সৃষ্টি করে। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ৩-৬ দিনের মধ্যেই উপসর্গ দেখা দেয়। তবে ভাইরাসটি তুলনামূলকভাবে কম ভয়াবহ ও সাধারণত সহজেই চিকিৎসা করা যায়।

রিওভাইরাসের লক্ষণ কী কী?
* ডায়রিয়া- পানি জাতীয় পাতলা মল, যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
* জ্বর- শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
* বমি- বমি করা, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পর।
* পেটে ব্যথা- অন্ত্রের অস্বস্তি বা পেটের ব্যথা।
* শক্তি কমে যাওয়া- শরীর দুর্বল অনুভূতি বা ক্লান্তি।

কতটা মারাত্মক এই ভাইরাস?
রিওভাইরাস সাধারণত মারাত্মক নয়, তবে এটি গুরুতর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। সেক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা না পেলে এটি জীবনহানির কারণ হতে পারে। তবে, এটি সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে ভালভাবে নিরাময়যোগ্য।

এই ভাইরাস সংক্রমণ কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, এমনিক এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা।

প্রতিরোধের উপায় কী?
রিওভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য টিকা (রিওভাইরাস ভ্যাকসিন) আছে যা শিশুদের জন্য দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া হাত ধোয়া, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও খাবারের সুরক্ষা এই ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।

সূত্র: মেডসক্যাপ

চা খেতে খেতে ধূমপান, অজান্তে মারাত্মক ক্ষতি করছেন না তো?